নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৩ মে ১৯৭৩। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় জুলিও কুরি শান্তি পদক।
জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার সকাল ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন, রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু, রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ প্রমূখ।
রামগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার শরিফুল্লাহ আস শামসের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোনাজের রশিদ, পশ্চিম আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার ও রামগঞ্জ ষ্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারন করে বক্তারা জানান, ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন আগেই, সেই ১৯৬৯ সালে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে করেছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি। তিনি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।