আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ বেইজিংয়ের গণমহাভবনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সাথে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, “গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমরা সামারখন্দে একযোগে ঘোষণা করেছি যে, দু’দেশের সম্পর্ক সার্বক্ষণিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে, যা দু’দেশের বিভিন্ন খাতের সহযোগিতার জন্য শক্তিশালী প্রাণশক্তি যুগিয়েছে। চলতি বছর হচ্ছে চীনে সার্বিকভাবে সিপিসি’র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের চেতনা বাস্তবায়নের প্রথম বছর। চীনের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া বেলারুশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নতুন সুযোগ বয়ে আনবে। অনিশ্চিয়তা ও অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখে, চীন বেলারুশের সাথে সম্পর্ক আরও উন্নয়নে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।”
সি চিন পিং বলেন, “চীন-বেলারুশ বন্ধুত্ব অত্যন্ত মজবুত। দু’পক্ষের উচিত অব্যহতভাবে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা উন্নত করা, সবসময় পরস্পরের সত্য বন্ধু ও ভালো অংশীদার হিসেবে থাকা। বেলারুশ তাইওয়ান, সিনচিয়াং, হংকং ও মানবাধিকার ইস্যুতে চীনের ন্যায্য অবস্থানকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। চীন এর উচ্চ প্রশংসা করে। দু’পক্ষের উচিত একে অপরের মৌলিক স্বার্থকে সমর্থন দেওয়া এবং বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা। পাশাপাশি, দু’দেশের উচিত বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা, চিকিত্সা খাতে সহযোগিতা গভীরতর করা, এবং সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বাড়ানো।”
সি চিন পিং আরও বলেন, “চীন ও বেলারুশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ন্যাযতার অভিন্ন রক্ষাকারী। বেলারুশ বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশিক নিরাপত্তা উদ্যোগকে সমর্থন দেয়। চীন এর প্রশংসা করে। চীন বেলারুশের সাথে একযোগে জাতিসংঘসহ বহুপক্ষবাদের প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে, একযোগে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে, এবং হাতে হাতে রেখে মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করবে।”
বৈঠকে দু’নেতা ইউক্রেন সংকটসহ নানান বিষয়ে মত বিনিময় করেন। সি চিন পিং বলেন, ইউক্রেন সংকটের ব্যাপারে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইতোমধ্যেই চীন একটি দলিল প্রকাশ করেছে। চীন শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানের পক্ষে।
বৈঠক শেষে দু’নেতা “গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের মধ্যে নতু্ন যুগে সার্বক্ষণিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নয়নবিষয়ক যৌথ ঘোষণা’ প্রকাশ করেন এবং একাধিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।