ইয়াং ওয়েই মিং:
চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে, ১৬ মে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-এর উদ্যোগে উচ্চ পর্যায়ের একটি চীন-মধ্য এশিয়া মিডিয়া সংলাপ ও মত বিনিময় ফোরাম সফলভাবে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের মূলধারার গণমাধ্যম এতে অংশগ্রহণ করে।
মধ্য-এশীয় দেশগুলোর মূলধারার মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান, চীনে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর কূটনীতিক, বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতরা “চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণ এবং মধ্য এশিয়া: নতুন উন্নয়ন এবং নতুন সুযোগ” প্রতিপাদ্যের উপর একান্তভাবে মতবিনিময় করেন। তারা যৌথভাবে মানব সমাজের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় মিডিয়ার নতুন মিশন ও নতুন দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, চীনা-শৈলীর আধুনিকায়ন মানুষের জন্য একটি নতুন পথ খুলে দিয়েছে এবং স্বাধীনভাবে আধুনিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক শেন হাই শিয়ং বলেছেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের প্রথম উত্থাপিত স্থান হিসেবে মধ্য এশিয়ায় গত দশ বছরে উচ্চ-মানের নির্মাণ ফলাফল অর্জিত হয়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধিতে আরও স্থিতিশীলতা ও নিশ্চিয়তা এনেছে। এটি ‘চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণ’ এর একটি প্রাণবন্ত প্রতিচ্ছবি, যা নতুন গতি সঞ্চার করেছে এবং মধ্য এশিয়ার উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ প্রদান করেছে। বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বৃদ্ধির সেতু হিসেবে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিহার্য ও অপরিবর্তনীয়। এই লক্ষ্যে, সিএমজি তিনটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রথমত, রাষ্ট্রীয় প্রধানের নির্দেশনায় চীন-মধ্য এশিয়া সহযোগিতার কথা দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণ করা উচিত। দ্বিতীয়ত, বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের রঙিন আধুনিকীকরণের গল্প বলা উচিত। এবং একটি প্ল্যাটফর্ম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীন ও মধ্য এশিয়ার মিডিয়ার মধ্যে বিনিময় এবং এক পক্ষের কাছ থেকে অন্য পক্ষের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
কাজাখস্তানের খবর বার্তাসংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বেরিক উয়ালি বলেছেন, কাজাখস্তান ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের যৌথ নির্মাণের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ও সমর্থক। কাজাখস্তান ও চীন সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থিতিশীল সহযোগিতা জোরদার করে আসছে। মিডিয়া সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর মধ্যে একটি। জনমত পরিচালনা এবং জনগণের মধ্যে বন্ধন বৃদ্ধিতে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন বিভিন্ন দেশের মিডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করে।
ফোরামে ‘মধ্য এশিয়ার প্রতি ভালবাসা’ চীনা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রদর্শনী’র ট্রেলার প্রচারিত হয়। ‘চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণ’ এর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচ্চ মনোযোগের জবাবে, চায়না মিডিয়া গ্রুপ দুই অধিবেশনের পর ধারাবাহিকভাবে সারা বিশ্বে মিডিয়া কার্যক্রম আয়োজন করেছে। এসব আয়োজনে ৯৩টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ১০৩৪টি মূলধারার মিডিয়া অংশগ্রহণ করেছে কিংবা ইভেন্ট সম্পর্কিত রিপোর্ট করেছে। এবং সংশ্লিষ্ট খবর ১০৬ কোটি বিদেশী দর্শকদের কাছে পৌঁছেছে। এই চীন-মধ্য এশিয়া উচ্চ পর্যায়ের মিডিয়া সংলাপ ও বিনিময় ফোরাম এসব আয়োজনের মধ্যে অন্যতম। এ ফোরাম চীন ও মধ্য এশিয়ার শতাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যম এবং সর্বস্তরের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।