নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আজ সোমবার ১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গৌরিপুর বাজারের একটি গলির দুপাশে দোকানপাট। একটু দূরে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি মোড়। বৈদ্যুতিক লাইট জ্বলছে দোকানগুলোতে। একটু সামনে রাস্তার মোড়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। মোড় দিয়ে তিনজন লোক বোরকা পরে হেঁটে গলির ভেতরে ঢুকেন। তিনজনেই মুখোশ পরা।
তারা মসজিদ থেকে পূর্বদিকে জামাল হোসেনের ভাড়া বাসার দিকে যাচ্ছেন। সিসি ক্যামেরার সময় অনুযায়ী এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় একই পথ ধরে ওই তিন দুর্বৃত্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় একজনের মুখের আবরণ খুলে যায়। আরেকজনের হাত থেকে অস্ত্র পড়ে যায়। অস্ত্রটি কুড়িয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে এ মামলাটির দ্রুত তদন্ত করব । মামলা তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আমরা দ্রুত বিচারের আওতায় আনব। আর ঘটনার পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা এবং গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গুলিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে খুনিদের শনাক্ত করতে এবং ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি ডিবি ও র্যাব কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় বোরখা পরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে জামাল হোসেন (৪০) নিহত হন। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একই উপজেলার নোয়াগাও ( জিয়ারকান্দি) গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
সূত্র: দৈনিক দেশ রূপান্তর।