নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাথে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষক দল নেতা নিহতের ঘটনাকে অস্বীকার করেছে পুলিশ। পৃথক হামলায় নিহতের এ ঘটনাটিকে পুলিশ ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেন জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ। এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে মামলা করা হবে।
নিহত ব্যক্তি কৃষকদলের সদস্য বা নেতা নয় বলেও দাবী পুলিশের। বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি সংঘর্ষের নানান কারনসহ নিহত হওয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করেন।
এদিকে ঘটনার দিন রাতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে নিহত ব্যক্তিকে কৃষকদলের চরশাহী ইউনিয়ন কমিটির সদস্য বলে দাবী করেন। তার নাম মো. সজীব। সে চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। দুপুর ১টার দিকে শহরের শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাসভবনের সামনে নিহতের গায়েবী জানাজার সময়ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এ দাবী করেন। হামলা ও সংর্ঘষে বিএনপি দলীয় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন বলে জানান শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এদিকে আজ বুধবার সংর্ঘষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা আওয়ামীলীগ। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না হয় সে লক্ষে আমরা উত্তর তেমুহুনী এলাকায় সভার স্থান নির্ধারণ করি। প্রশাসনও তৎপর ছিলেন, যেন কোন বিরোধপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। আমরাও সহযোগিতা করেছি। আমাদের মিছিলের সাথে বিএনপির মিছিলের দেখাও হয়নি-সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসার পথে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
আজ বুধবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৬টা) সংঘর্ষ ও হতাহত এবং নাশকতার ঘটনায় বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এখনো কোন মামলা হয়নি বলেও জানান জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ।
তবে নিহতের নানা হানিফ মিয়া তার নাতি হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন।
প্রসঙ্গত: গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বিএনপি’র পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিএনপির সাথে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশসহ আহত হয় অর্ধশত লোকজন। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়।