মিসু সাহা, রামগতি: মেধাবী ছাত্র মোঃ আরমান হোসেন জিহাদ (৮)। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি ষ্টেশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে সে। ছোট্ট বয়সেই শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার। কিছুদিন ধরে সে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।বর্তমানে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায়, বিনা ঔষধে বাড়িতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
আরমান হোসেন জিহাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। দিন মজুরের কাজ করেন তার বাবা মোঃ আলী হোসেন। স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে তার আয়েই চলে পুরো সংসার ।
আরমানের বাবা আলী হোসেন বলেন, আমার মেঝ ছেলের ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ওর চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। নোয়াখালী সহ ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার সর্বস্ব শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছে আমার ছেলেটি।
তিনি বলেন, নিজের সংসার ঠিকমতো চালাতে পারি না, ছেলের চিকিৎসা কী করে করব, ভেবে কূল পাই না।
স্থানীয় বাসিন্দা নোমান উদ্দিন ও মেহেদী হাসান রিপন জানান, অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আরমান হোসেন। তার অসুখের কথা শুনে আমরা ভীষণ চিন্তিত।
আরমানের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এতদিন চিকিৎসার পর কোনও ধরনের উন্নতি না হওয়ায় আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। যত সময় যাবে ততই শরীরে ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রোকেয়া বেগম বলেন, ’আপনাদের ভালোবাসার উপহার আর আল্লাহর রহমতেই আরমানকে নতুন জীবন দিতে পারবে ইনশাল্লাহ। আরমান একটা ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আপনাদের সহায়তা একান্ত কাম্য। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে থাকার অনুরোধ জানান এই মা।’
সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন আরমানের বাবা আলী হোসেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- ০১৯৬৫-০৫১২৪৭ (বিকাশ), প্রয়োজনে-০১৮৫৮-০৫০১০৫।
মিসু সাহা নিক্কন
01722989390