নিজস্ব প্রতিবেদক:
নফসের সঙ্গে একমাস যুদ্ধ করে রোজাদাররা যে সাফল্য, গৌরব ও পুন্য অর্জন করে সেজন্য মহান আল্লাহর দরবারে তার শ্রেষ্টত্ব ও মহত্বের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার আনন্দ উৎসবই হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রাসুল্লাহ (সঃ) সানন্দে ঘোষনা করেন ‘প্রতিটি জাতিরই আনন্দ-উৎসব রয়েছে, আমাদের আনন্দ উৎসব হচ্ছে ঈদ’ (বুখারি ও মুসলিম)। বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর নিকট ঈদুল ফিতর এক আনন্দঘন অনুষ্ঠান। ঈদ পৃথিবীতে জান্নাতি সুখের নমুনা। ঈদের দিনে ঈদের ময়দানে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করা একটা বড় ইবাদত।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর পিছনে রয়েছে ধর্মপ্রাণ মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষা এবং নিবেদিত প্রাণের আকুতি। রোজাদার মুসলমানরা যখন ঈদের দিনে নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহে বা মসজিদে আসতে শুরু করে তখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের ডেকে ডেকে বলেন, দেখো ফেরেশতারা মানুষ সৃষ্টি করার সময় তোমরা বলেছিলে যে, তারা পৃথিবীতে ফেতনা, ফেসাদ ও খুন খারাবিতে লিপ্ত থাকবে। আর এখন দেখো, কিভাবে আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ তারা আমরা দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হে ফেরেশতারা তোমরা তাদের অভ্যার্থনা জানাও এবং বলে দাও, আমি আল্লাহ তাদের গোনাহ সমুহ মাফ করে দিয়েছি। আল্লাহর তরফ থেকে রোজাদার মুসল্লিদের মধ্যে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সার্টিফিকেট বিতরণের দিনই হলো ঈদুল ফিতর। আর তাই রমজান শেষে ঈদুল ফিতরই হলো রোজাদারদের পুরস্কারের দিন।’ আল্লাহ বলেন রোজাদারদের আমি নিজেই পুরস্কার প্রদান করবো।
সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত অনলাইন।