মোঃ ছায়েদ হোসেন:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামে শনিবার মাদার বাড়ীর (বক্তের বাড়ী) বাগানে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দাদা সফি উল্যাহ (৬০) ও নাতি মো. ওমরের (৩) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এছাড়া একইদিন উপজেলার করপাড়া গ্রামের ডুমুরিয়া গ্রামের বাড়ির এস এম হামিদুল ইসলারে দুই বছর বয়সী ছেলে মোঃ ওমর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের হরিশ্চর গ্রামের দিনমজুর দেলোয়ার হোসেন ২২ মাস বয়সী কন্যা জাইফা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় শোকাহত পুরো এলাকাবাসী।
স’ানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী জানান, আজ শনিবার সকালে দাদা সফিউল্যাহর সাথে হাঁটতে বের হয় নাতী মোঃ ওমর। দীর্ঘক্ষন পার হয়ে গেলে ঘরে না ফেরায় বাড়ীর লোকজন দাদা নাতীকে খুঁজতে বের হয়। খুঁজতে গিয়ে দাদা মোঃ সফিউল্যাহ ও নাতী ওমরকে নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ীর বাগানের একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এদিকে উপজেলার ৮নম্বর করপাড়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বেপারী বাড়ীতে দুপুর সাড়ে ১২টায় পুকুরের পানিতে ডুবে ওমর (২) নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিশু ওমর ওই বাড়ির এস এম হামিদুল ইসলাম এর একমাত্র ছেলে।
বাড়ীর লোকজন জানান, ওমরের বাবা হামিদুল ব্যক্তিগত কাজে গাজীপুর বাজারে ছিলেন। হামিদুলের স্ত্রী রান্নাবান্না ও ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকার কোন এক সময়ে শিশু ওমর বাড়ীর পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।
অপরদিকে উপজেলার ৫নম্বর চন্ডিপুর ইউনিয়নের হরিশ্চর গ্রামে শনিবার বেলা ১১টার দিকে পানিতে ডুবে সাদিয়া আক্তার জাইফা নামের ২২ মাসের এক শিশু কন্যার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিশু জাইফা ওই গ্রামের দিনমজুর দেলোয়ার হোসেনের কন্যা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন জানান, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে ঘরের বাহিরে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পুকুরে জাইফাকে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশু জাইফার বাবা হরিশ্চর আইডিয়াল স্কুলে দপ্তরির চাকরি করি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অসাবধানতাবসত বসতঘরের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা ও নাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে।