মাহমুদ ফারুক:
রামগঞ্জে আবদুস ছালাম নামের এক খামারির গরুর খামারের গোবর ও বর্জ্যের কারনে খাল ভরাট হয়ে পুরো খালপাড়া এলাকায় চড়াচ্ছে মারাত্মক দূর্ঘন্ধ।
গোবর ও বর্জ্যের কারনে খালের নির্ধারিত অংশ ভরাট হয়ে বাঁধের মতো হয়ে যাওয়ায় মধুপুর, উত্তর আউগানখীল, দক্ষিণ আউগানখীলসহ পশ্চিম ও দক্ষিণের শত শত একর জমির কৃষকগণ চোঁখে অন্ধকার দেখছেন। চাহিদাকৃত পানি না পাওয়ায় জমির ফসল শুকিয়ে নষ্ট হওয়াসহ অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
দক্ষিণ আউগানখীল গ্রামের কৃষক মোঃ হারিছ মিয়া, আবুল কালাম, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোঃ জসিম, মোঃ শামিমসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, খালে পানি নাই গত কয়েকমাস থেকে। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের কাছে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করি। তারা আমাদের আশ^স্ত করেন, শীগ্রয় খালে পানি দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু খালের মাঝখানের একটি অংশে মধুপুর মন্দার দীঘির পাড় এলাকার জনৈক আবদুস সালামের মালিকানাধীন শতাধীক গরুর খামারের গোবর ও বর্জ্যের কারনে খাল ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বাঁধের মতো হয়ে পুরো খালে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মধুপুর মন্দার দীঘির পাড়ের আবদুস সালামকে আমরা বার বার বলার পরও তিনি বিষয়টি সমাধানে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে উত্তর আউগানখীল গ্রামের প্রায় ৮০ কানি জমিসহ দক্ষিণ আউগানখীল গ্রামের দেড়’শ কানি জমিতে চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
দক্ষিণ আউগানখীল গ্রামের কৃষক মোঃ হারিছ মিয়া আরো জানান, এখানকার অধিকাংশ কৃষক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে বিভিন্ন শাকসবজি চাষাবাদ করে। কিন্তু এবার খালে কোন পানি নাই। পানির অভাবে করোলা, কুমড়া, টমেটো গাছের পাতা শুকিয়ে হলুদ রঙ ধারন করেছে। আগামী সপ্তাহের ভিতরে পানি না পেলে এখানকার কৃষকরা মাঠে মারা যাবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় গরু খামারী আবদুস সালামের সাথে। তিনি জানান, যেহেতু অভিযোগ হয়েছে আমার খামারের বর্জ্যরে কারনে পানি যাচ্ছেনা জমিগুলোতে। আমি দুই একদিনে খাল পরিস্কার করে দিবো। আমি চাই না কোন কৃষকের ক্ষতি হোক।
ছবি: ইকবাল হোসেন।