মাহমুদ ফারুক:
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তীব্রতায় রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় রামগঞ্জ বাজার এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলেও উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা রয়েছে অন্ধকারে।
এছাড়া গাছ চাপায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। টানা বৃষ্টির কারনে শীতকালীন শাক-সবজির খেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার দিনব্যাপি চলে বর্ষন। বিকাল ৪টায় শুরু হয় ঝড়ের তান্ডব। সন্ধা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডব। রাস্তাঘাটের উপর আছড়ে পড়ে বড় বড় গাছপালা।
বিশেষ করে পৌর এলাকার মধুপুর-রতনপুর, নন্দনপুর, উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাটাখালি, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর, চন্ডিপুর, ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর-নুনিয়াপাড়া, শ্রীরামপুর এলাকার জনবহুল সড়কে গাছ পড়ে গিয়ে মারাত্মক দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
আলীপুর গ্রামে কয়েকটি মুরগী ফার্ম ও মধুপুর গ্রামে কয়েকটি বসতঘরের উপরে বিশালাকৃতির গাছ হেলে পড়ে প্রানহানির শঙ্কা দেখা দেয়।
গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লক্ষ্মীপুর ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের ২০জন সদস্য।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল মন্নান ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় আমাদেরকে বিষয়টি জানানোর সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কেটে সড়ক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তুলে দেই। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শারমিন ইসলাম জানান, ঝড় শুরুর কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কল আসতে থাকে। আমি রামগঞ্জ ফায়ার ষ্টেশন দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ঝড়ে গাছ পড়ে সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি অবগত করি। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের খোঁজ নেয়ার জন্য।