নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মমিন উল্যা নামে (৭০) এক বৃদ্ধকে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই বাড়ির চিহ্নিত ব্যক্তিরা।
হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি আঘাতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়।
আহত বৃদ্ধ মমিন উল্যাহকে আশেপাশের লোকেরা উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনাটি গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার দরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিমউদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর দরজায় ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মমিন উল্যার পুত্র সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাদী একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজন ও রহিমা বেগমসহ মোট চারজনকে আসামী করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর মমিন উল্যাহর সাথে একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদের সঙ্গে জমি নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে বৃদ্ধ মমিন উল্যাহ এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজনসহ কয়েকজন চাপাতি, রামদা দিয়ে মমিন উল্যাহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
ভুক্তভোগীর ছোট ছেলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ এ প্রতিবেদককে বলেন আমাদের বাড়ীর দ্বীন ইসলাম, নরুল ইসলাম ও সুজন গংরা মসজিদে যাওয়ার পথে আমার বৃদ্ধ পিতাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রামদা, চাপাতি ও ছেনী দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। তাদের হামলায় আমার বৃদ্ধ পিতার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক জখম হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য দ্বীন ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক রাজীব কুমার দাসের নিকট ২৭ এপ্রিল সকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোন এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।