নিজস্ব প্রতিবেদক:
অভ্যন্তরিন কোন্দলের জেরে রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সন্ধায় রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের জুতার মার্কেটের নিচতলার মর্ডাণ ব্যাগ হাউজে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক সহিদ চৌকিয়া, তার ছোট ভাই পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল চৌকিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক শরীফ কাজী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য রাকিবুল হাসানকে বেদম মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা রামগঞ্জ সরকারি কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলাকারীগণ এসময় উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজসহ হার্ডডিস্ক নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সহিদ চৌকিয়া।
হামলার শিকার সহিদ চৌকিয়া ও তার ছোট ভাই সোহেল চৌকিয়া জানান, কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অপু মাল, রামগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূইয়ার উপস্থিতিতে একদল দূবৃর্ত্ত তার দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে। বাধা দিতে গিয়ে তিনি ও তার ছোট ভাইসহ ৪জন আহত হয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় রামগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান শুভর সাথে। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনাটি সঠিক নয়। জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সহিদ চৌকিয়ার কাছে জানতে চাইলে তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে।
সহিদ চৌকিয়া সাংবাদিকদের আরো বলেন হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা ও ভাংচুর করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার দাবী করেন তিনি। হামলাকারীরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউজ্জামান অপু মাল ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূইয়া জানান, হামলা ও মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়। শ্রমিকলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা জিয়া শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় যায়।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এখন পর্যন্ত উক্ত বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।