মাহমুদ ফারুক:
রামগঞ্জ উপজেলার ৪টি বে-সরকারি হসপিটালের ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মেজর অপারেশনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার । এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি প্যাডে ৮টি নির্দেশানা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। আজ সোমবার বিকালে এ পরিপত্র জারি করা হয়।
একই চিঠির ৭ নং নির্দেশনায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রামগঞ্জ আল ফারুক হসপিটালের ডাক্তার ফারজানা তালুকাদার ন্যান্সি, একই হসপিটালের ডাক্তার তাওহিদা আক্তার, রামগঞ্জ আধুনিক হসপিটালের ডাক্তার মোঃ রকিবুল হাসান, চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদাউস ইতি ও ফেমাস হসপিটালের ডাক্তার মাহবুবা হক মিতু কোন ধরনের মেজর অপারেশন করতে পারবেন না।
রাইসুল আসাদ নামের এক রোগীর স্বজন জানান, অভিযুক্ত ডাক্তারই যখন নিষেধাজ্ঞা দেয় তা দুঃখজনক। এসময় তিনি জানান, রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার ও একই হসপিটালের চিকিৎসক ডাক্তার নাজমুল হক সম্প্রতি একজন রিক্সা চালকের স্ত্রীকে ভুলভাবে অপারেশন করায় মারা যায়। এছাড়া উপজেলার ইসলামিয়া হসপিটালে এক শিশুকে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলে। ঐ হসপিটালের কোন কাগজপত্র না থাকলেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ যেন আসামী যখন বিচারকের ভূমিকা পালন করছে।
রামগঞ্জ ফেমাস হসপিটাল ম্যানেজার মানিক দাস জানান, আমাদের চিকিৎসক মাহবুবা হক মিতুর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। উনার সকল সনদপত্র রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট দিয়ে আসার পরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার জানান, আমরা বিভিন্ন অভিযোগে এবং কাগজপত্র না থাকায় ৫জন চিকিৎসককে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এছাড়া কাগজপত্র বিহীন হসপিটালগুলোকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ন্যুনতম প্রশিক্ষণ ব্যতিত কোন চিকিৎসক মেজর অপারেশন করাতে পারবেন না।