মাহমুদ ফারুক:
মাছ মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। শেষ কবে গরুর গোস্ত খেয়েছি মনে পড়ে না। ৮শ টাকা গরুর গোস্তের কেজি, ১০০/১১০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও কক মুরগি ৩৩০/৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমাদের মতো গরীব মানুষ রমজানে কিভাবে রোজা রাখবেন? কিছু বলতে গেলেও মনে হয় কেউ গলা টিপে ধরেছে। কথা বের হয় না, কার কাছে বলবো। হোটেল বয়ের কাজ করে মাসে পাই ৭ হাজার টাকা।
স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়া থাকি। আমি দুই একবেলা হোটেলে ভালোমন্দ খেতে পারি, স্ত্রী ও সন্তানতো তা চোঁখে দেখে না। বাজারে যেতে ভয় পাই। আড়াইশ গ্রাম তো আর বিক্রি করে না। এভাবে কথাগুলো বললেন রামগঞ্জ তরকারীর বাজারে তরকারী কিনতে আসা এক ক্রেতা।
সরেজমিনে আজ রবিবার সকালে রামগঞ্জ কাঁচা বাজার (তরকারী বাজার) গিয়ে দেখা যায়, কচুর লতি ১শ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০টাকা, কাঁচা মরিছ ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পাতা কপি ৩০ টাকা, করোলা ১শ টাকা, শশা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধনে পাতা ১শ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৩৭০ টাকা, গরুর গোস্ত হাঁড় ছাড়া ৮শ টাকা-হাঁড়সহ ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও কক মুরগী ৩৩০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কুচো চিংড়ি ৫শ টাকা, মাঝারি মানের চিংড়ি মাছ ৭৫০/৮শ টাকা, রুই মাছ ছোট ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছ কিনে ফিরছেন ক্রেতা এস এম বাবুল বাবর। তিনি জানান, বাজারে যে তুলনায় মাছ আছে তার চেয়ে বেশি ক্রেতার সংখ্যা। সামনে রমজান। অনেকে রমজানের জন্য মাছ মাংস ফ্রিজজাত করার জন্য বেশি বেশি করে কিনছেন। দাম এ কারনেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের উচিৎ প্রতিদিনের নিত্যপন্য ঐ দিন কেনা। তাহলে কিছুটা সহনীয় হবে। তবে তিনি মাছ ও মাংসের সিন্ডিকেটের কারনে চড়া দাম বলে দাবী করেন।
কয়েকজন পাইকারী ব্যবসায়ী (আড়ৎদার) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের কিছু করার নাই। লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে যে মালামাল আসে, পাইকারী বাজারে চড়া দাম। আমরা নিজেরাই অসহায় হয়ে গেছি। আর কাঁচা মাল পঁচনশীল। বেশি দিন রাখারও সুযোগ নেই। বাজারে মালের দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি।