জহিরুল ইসলাম:
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জেলা যুবলীগের সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকরাকিব ইমামের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ডি এস ইউ কামিল মাদরাসা মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একই মাঠে দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন মুসল্লিরা।
জানাজার আগে বক্তব্য দেন নিহত নোমানের ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও রাকিবের ভাই রুবেল হোসেন। তারা হত্যাকারী হিসেবে আবুল কাশেম জিহাদির শাস্তি দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, আওয়ামী লীগ নেতা এম আলাউদ্দিন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তার, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান পলাশ, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যাম মামুনুর রশীদসহ হাজারো মুসল্লি।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে। এর আগে নোমান পোদ্দারবাজারে ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা অন্যদের বিদায় দিয়ে তিনি রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নাগেরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথেই সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে। পরে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয়রা দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এদের মধ্যে মাথায় ও মুখে গুলি লেগে নোমানের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ রাকিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে একই দিন রাতে তিনিও মারা যান।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের (প্রস্তাবিত) শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যাহর ছেলে।
সূত্র: দৈনিক আমাদের ডট কম।