জুনাইদ আল হাবিব;
লক্ষ্মীপুরের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে নজরুল ইসলাম ভুলুর নামটি ছিল বেশ সমাদৃত। জেলা শহর থেকে প্রান্তিক, সর্বত্রই দলের কর্মী সৃষ্টির কারিগর হিসেবেও এ নামটির সুনাম দীর্ঘদিন ধরে। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি সক্রিয় এবং কর্মীবান্ধব। ছাত্রজীবনে আহবায়ক ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের। তবে এবার জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী তিনি।
দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার অভিযোগে ২০২১সালের ২অক্টোবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লক্ষ্মীপুর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সম্মেলনে নতুন কমিটি হয়নি। তবে জেলাজুড়ে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে দলের সাংগঠনিক কার্যাক্রমে সক্রিয় নজরুল ইসলাম ভুলু।
এরই মধ্যে নতুন কমিটি দেবার নানান জল্পনাকল্পনা ঘুরছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। ভুলুর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার সমর্থনে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, জেলা যুবলীগ মানে নজরুল ইসলাম ভুলু। তিনি সর্বক্ষেত্রে যুব সমাজের অহংকার, আইকন এবং তার বিকশিত যোগ্য নেতৃত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগামীতে জেলার সবগুলো থানা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে নজরুল ইসলাম ভুলু হবে সবার উর্ধ্বে। তিনি সব সময় কর্মীবান্ধব। তার কাছে নেতা-কর্মীরা আস্থাশীল।
কমলনগরের চর মার্টিন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত মাহমুদ মনে করেন, জেলা যুবলীগের আগামীর নেতৃত্ব ভুলু ভাইয়ের হাতেই যাবে। কেননা, জেলার আনাচে-কানাচে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত বেনগার্ড তৈরি করেছেন, এটা দ্বিতীয় কেউ করতে পারেনি। নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে সঠিক নেতৃত্ব দরকার, আর তার জন্যই ভুলু ভাইকে প্রয়োজন।
সাইফুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুলু সবার আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। তাকে জেলা যুবলীগের সভাপতি করা হলে আগামীর ভোট কেন্দ্রিক রাজপথ হবে সংগ্রামী ও নেতৃত্বশীল। নেতার অন্যান্য বৈশিষ্ট্য মধ্যে তিনি অন্যতম সংগঠক। কর্মী সৃষ্টিতে তিনি বিশ্বাসী আস্থাভাজন ব্যক্তি।
জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মো. ইউছুফ পাটোয়ারী বলেন, জেলা যুবলীগের কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতারা থাকতে পারে। তবে সবার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে নজরুল ইসলাম ভুলু।
মো.নজরুল ইসলাম ভুলু বলেন, রাজনীতিতে ত্যাগ এবং পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। রাজনীতি করছি দলের জন্য, দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড সচল রাখতে। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বারবার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে জেল খেটেছি। বহু মামলার আসামী হয়েছি। কয়েকবার ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলাম। রাজনীতির নানা সমীকরণ পার হয়ে আজ এখানে। নেতাকর্মীদের দাবির মুখে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি। সভাপতি হতে পারলে আগামীর লক্ষ্মীপুর হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘাঁটি ও আস্থার জায়গা।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান বলছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা–কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তি জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবলীগের কমিটিতে সম্ভাব্য অন্যান্য পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা হলেন জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া, , জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী, রুপম হাওলাদার প্রমুখ।