নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুর শহরে ককটেল ফাটিয়ে ও আতঙ্ক ছড়িয়ে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল দোকানিকে কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটে নেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তাজা ককটেল রাস্তার ওপর থেকে উদ্ধার করে।
আজ বুধবার (৭ জুন) রাত ৮টা ১০ মিনিটে হঠাৎ আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ‘চৌধুরী সুপার মার্কেটের ‘আর কে শিল্পালয়’ ককটেল ফাটিয়ে চতুর্দিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে ওই স্বর্ণকার দোকান থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করার ঘটনা ঘটে।
এতে বাধা দেওয়ায় দোকান মালিক অপু কর্মকারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে অমি কর্মকারও আহত হন।
স্থানীয় কলা বিক্রেতা মো. খোকন জানান, হঠাৎ রাত ৮টা ১০ মিনিটে কয়েকজন লোক এসে স্বর্ণকার দোকানে ঢুকে। আর একজন বাইরে দাঁড়িয়ে একটি ব্যাগ থেকে ককটেল ফাটিয়ে চারিদিকে আতঙ্ক ছড়ায়। আমি নিজেই ভয়ে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেই। তারা ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে দোকানের স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটে নেয়। অপু দাদাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় দাদাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোনার দোকানে লুটপাট করে ডাকাতদলের সদস্যরা একটি পিকআপ ভ্যান করে পালিয়ে যায়। পিকআপ ভ্যানটি শহরে ইটের পোল এলাকায় গিয়ে ২ পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ছফি উল্লাহ (৭৫) ও মো. ইসলাম (৫০) নামে দুই পথচারী গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছফি উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি আরও জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপু কর্মকারকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
সূত্র: শীর্ষ সংবাদ।