২৭ অক্টোবর চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি), জাতিসংঘের জেনিভা কার্যালয় ও জেনিভায় চীনের স্থায়ী কার্যালয়ের যৌথভাবে ‘সভ্যতা কেন’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী প্যালেস অব নেশনসে শুরু করেছে। চীনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার-বিষয়ক উপমন্ত্রী ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং, জাতিসংঘের জেনিভা কার্যালয়ের সংস্কৃতি কমিশনের চেয়ারম্যান ফ্রান্সিসকো পিজারো এবং জাতিসংঘের জেনিভা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত চীনের স্থায়ী দূত ছেন স্যু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ভাষণ দেন।
শেন হাই সিয়োং তাঁর ভাষণে বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম বহুমুখী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হিসেবে সিএমজি সভ্যতার উন্নয়ন রেকর্ড ও সভ্যতার যোগাযোগ বাড়ানোর দায়িত্ব পালন করে আসছে। ‘চিন্তাধারা,শিল্প ও প্রযুক্তি’ সমন্বিত যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের যোগাযোগ জোরদার করেছে সিএমজি।
শেন হাই সিয়োং আরো বলেন, প্যালেস অব নেশনস হলো আন্তর্জাতিক সমাজের ভিন্ন চিন্তাধারার যোগাযোগ, বহুমুখী সংস্কৃতির যোগাযোগ এবং বহুমুখী সভ্যতার যোগাযোগের একটি বড় মঞ্চ। এবারের প্রদর্শনী নিমজ্জিত ও ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন দিয়ে দর্শকদেরকে পাঁচ হাজার বছরের চীনা সভ্যতার উৎস জানানো এবং চীনা সভ্যতা অন্তহীন বিশেষ চেতনা তুলে ধরবে।
ফ্রান্সিসকো পিজারো জেনিভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘সভ্যতা কেন’ শীর্ষক প্রদর্শনীর জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, সংস্কৃতি ও সভ্যতা হলো বিভিন্ন দেশের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। তিনি আশা করেন, এবারের বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে চীনের প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতা পশ্চিমা দেশে প্রচার করা যাবে।
ছেন স্যু বলেন, সব দেশের ভবিষ্যত ও ভাগ্য নিবিড়ভাবে জড়িত আজকে চীন বিশ্ব সভ্যতার প্রস্তাব করেছে। চীনা সভ্যতার যোগাযোগের মাধ্যমে মতভেদ দূর করা ও সভ্যতার যোগাযোগের মাধ্যমে সংঘর্ষ দূর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে মানবসভ্যতার উন্নতি জোরদার করা যায় এবং আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী ইতিবাচক শক্তি যোগানো যায়।
উল্লেখ্য, ‘সভ্যতা কেন’ নামের প্রদর্শনী ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে একটি মোবাইল ও ইন্টারেক্টিভ অস্থায়ী কাঠামোতে লিয়াংচু সংস্কৃতি, ইনস্যু ও সানসিংতুইসহ দশটি গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য তুলে ধরা হয়। চীনা জাতির ৫ হাজার বছরের মহান গৌরবও তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীটি ৩০ অক্টোবর শেষ হবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।