রায়হান মিঠু, সাভার :
সাভার মডেল থানায় পক্ষাঘাতগ্রস্তদের গমনাগমনের জন্য নবনির্মিত র্যাম্পের শুভ উদ্বোধন ও হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের কথা চিন্তা করে সিঁড়ির পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আলাদা র্যাম্প। সাভার মডেল থানায় এই প্রথম চালু হলো হুইলচেয়ারের এই সেবা।
গতকাল শনিবার দুপুরে আমেনা বেগমকে হুইলচেয়ার বিতরণের মাধ্যমে এই সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এই সেবার উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা’র সঞ্চালনায় ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী পিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক ড. ভেলরি এ্যান টেইলর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) বলেন, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের আইনি সেবা প্রদানে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্বিঘ্নে প্রবেশের জন্য থানা চত্বরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিঁড়ির পাশাপাশি তৈরি করা হলো চারটি র্যাম্প। খুব শীঘ্রই ঢাকা জেলার প্রত্যেকটি থানায় এই সেবা কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধান বক্তা ড. ভেলরি এ্যান টেইলর বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো থানায় পক্ষাঘাতগ্রস্থদের গমনাগমনের জন্য র্যাম্প ও হুইল চেয়ার সেবা চালু হলো যা দেশের অন্যান্য থানার জন্য এটি একটি উদাহরণ হতে পারে। তারাও যদি এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে তাদের প্রত্যেককেই আমরা আমাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো। পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য এত সুন্দর ও ব্যয়বহুল র্যাম্প স্থাপন করায় হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানা ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. ভেলরি এ্যান টেইলর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ও সুবর্ণ নাগরিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল চৌধুরী। তারা যৌথভাবে এমন মহৎ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পুলিশের প্রতি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নতুন এই সেবা উদ্বোধনের পর হুইলচেয়ারের মাধ্যমে থানায় এসে প্রথম সেবা গ্রহণ করেন মিজানুর রহমান নামের একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ব্যক্তি। তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূর্ণবাসন কেন্দ্র (সিআরপি) এলাকার আশেপাশের রাস্তাঘাটে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের হুইলচেয়ারে চলাচলের সমস্যা নিরসনে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।