মশিউর আনন্দ:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এই দুই লক্ষ্য অর্জনে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই। সেজন্য পৌরসভা পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব পয়োঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অপরিহার্য।
তিনি আজ এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এবং দৈনিক ভোরের কাগজ যৌথভাবে আয়োজিত রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে “সিটি স্যানিটেশন অ্যান্ড ফিকাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট লার্নিং শেয়ারিং” শীর্ষক এক জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বলেন, দেশের উন্নতির সাথে সাথে পয়োঃবর্জ্য থেকে শুরু করে নানা ধরনের বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে যার সঠিক ব্যবস্থাপনা করা না গেলে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা যেরকম পূরণ করা যাবে না তেমনি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের অধরা থেকে যাবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের প্রকল্পগুলো আমাদের পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখার সাথে সাথে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।
দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই এই ধরনের অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এমডিজি অর্জনের পর বাংলাদেশ সরকার এসডিজি-২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে গ্লোবাল নর্থের দেশগুলোর সমকক্ষ দেখতে চাই।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ সিটি ওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন, ফিকাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট, বর্তমান পরিস্থিতি ও অগ্রগতির রূপরেখা তুলে ধরেন।
এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এসএমএ রশিদ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও শক্তিশালী সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে এনজিও ফোরামের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প “রেজিলিয়েন্ট, ইনক্লুসিভ অ্যান্ড ইনোভেটিভ সিটিজ ইন বাংলাদেশ” এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিটি ওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র একরামুল হক টিটু, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন নাওকা মার্টিনেজ বাকস্ট্রোম, ইউনিসেফের ওয়াশ স্পেশালিস্ট শফিকুল আলম।